বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০

১৯৭১ সালে স্থলযুদ্ধ

পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানের সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন ক্যাকটাস লিলি।’ মানেকশর পরামর্শ অনুযায়ী ঘোষণা দেয়া ছাড়া ২১ নভেম্বর যুদ্ধ শুরু হয়। দিনটি ছিল ঈদুল ফিতরের দিন। ধারণা করা হয়েছিল যে, পূর্ব পাকিস্তানে মোতায়েন পাকিস্তানি সৈন্যরা ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত থাকবে। তাই দিনটিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শুরু করার দিন হিসাবে বেছে নেয়া হয়। সেদিন হেলিকপ্টারের সহায়তা নিয়ে একটি ভারতীয় ব্রিগেড পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে এবং পাকিস্তানি সীমান্ত চৌকি তছনছ করে দিয়ে ১০ মাইল ভেতরে ঢুকে পড়ে। একইদিন ভারতের ২৩তম ডিভিশনের আরেকটি ব্রিগেড নোয়াখালী জেলার বিলোনিয়ায় হামলা চালিয়ে পূর্ব পাকিস্তান ভূখণ্ডের ৮ মাইল অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ভারতের ৫৭তম ডিভিশনের একটি ব্যাটালিয়ন তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার মুকন্দপুর ও সালদান্দিতে দু’টি পাকিস্তানি সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালায়। ভারতের কাছে এ দু’টি সীমান্ত চৌকির পতন ঘটে। সিলেট জেলার তৎকালীন মৌলভীবাজার মহকুমায় দু’টি ভারতীয় ব্যাটালিয়ন ধলাই, আথিরাম ও জকিগঞ্জে সীমান্ত চৌকি দখল করে নেয়। এ দু’টি ব্যাটলিয়নে দু’টি গুর্খা কোম্পানি ছিল। রংপুরের ভুরঙ্গামারিতে একটি ভারতীয় ব্রিগেড হামলা চালিয়ে ১৫ মাইল ভেতরে নাগেশ্বরী পর্যন্ত এগিয়ে আসে। সাঁজোয়া ও বিমান বাহিনীর সহায়তা নিয়ে ভারতের নবম ডিভিশনের একটি ব্রিগেড যশোর জেলায় বড় ধরনের একটি হামলা চালায়। চৌগাছার বিপরীতে এ হামলা চালানো হয়। পূর্ব পাকিস্তানকে কয়েকটি অংশে বিভক্ত করে ফেলার লক্ষ্যে সকল ফ্রন্টে আক্রমণ পরিচালনার পর যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা দখলের পরিকল্পনা করা হয়।
পুরনো মডেলের বিশেষ করে এম-২৪ এবং পিটি-৭৬ ট্যাংকের অধিকাংশ মোতায়েন করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানে। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতের কাছ থেকে এসব ট্যাংক দখল করা হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ছিল চারটি ডিভিশন। এসব ডিভিশনে ছিল ৪০ ব্যাটালিয়ন পদাতিক সৈন্য। পূর্ব পাকিস্তানের চারটি ডিভিশনকে সহায়তা দিতো দু’টি হাল্কা সাঁজোয়া ইউনিট। এ অঞ্চলে মোতায়েন নবম ডিভিশন ভারতের দ্বিতীয় কোরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। পদ্মা ও যমুনা নদীর মাঝামাঝি অবস্থান গ্রহণ করেছিল পাকিস্তানের ষোড়শ ডিভিশন। এ ডিভিশনের বিপরীতে ছিল ভারতের ৩৩তম কোর। ভারতের চতুর্থ কোরের বিপরীতে ছিল পাকিস্তানের ৩৬তম ডিভিশন। উত্তরাঞ্চলে ভারতের ১০১তম কমিউনিকেশন জোনের বিপরীতে পাকিস্তানের ছিল ষোড়শ পদাতিক ডিভিশন। 
উত্তরাঞ্চলীয় সেক্টরে হিলি-বগুড়া এলাকায় ভারতের ৩৩তম কোরের সহায়তায় একটি টি-৫৫ ট্যাংক রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়। পশ্চিমাঞ্চলে ভারতের দ্বিতীয় কোরকে সহায়তা করছিল পিটি-৭৬ এর একটি রেজিমেন্ট। পূর্বদিক থেকে হামলায় চতুর্থ কোরকে সহায়তা করছিল তিনটি স্বতন্ত্র সাঁজোয়া স্কোয়াড্রন। একটি ছিল পিটি-৭৬, আরেকটি এএমএক্স-১৩ এবং অন্যটি ফেরেট সাঁজোয়া স্কোয়াড্রন। পক্ষান্তরে বগুড়া এলাকায় ভারতের টি-৫৫ ট্যাংক বহরের বিপরীতে পাকিস্তানের ছিল একটি এম-২৪ শ্যাফি সাঁজোয়া রেজিমেন্ট। পশ্চিমাঞ্চল এবং ঢাকা সেক্টরকে সহায়তা দিচ্ছিল দু’স্কোয়াড্রন শ্যাফি ট্যাংক। সর্বাত্মক লড়াই শুরু হলে পূর্ব পাকিস্তানে মোতায়েন পাকিস্তানের অর্ধেক ট্যাংক হয়তো ধ্বংস হয়ে যায় নয়তো ভারতীয়দের হাতে আটক হয়। ততক্ষণে ভারতীয় সৈন্যরা ঢাকার উপকণ্ঠে পৌঁছে যায়। অবশিষ্ট ট্যাংকগুলো আত্মসমর্পণের শর্ত অনুযায়ী ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কমপক্ষে ৩০টি ভারতীয় পিটি-৭৬ ট্যাংক ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাইন বিস্ফোরণে চারটি টি-৫৫ ট্যাংকের চাকা উড়ে যায়। তবে যুদ্ধের পর ১১ টি ছাড়া সব ক’টি ট্যাংক মেরামত করা হয়। এএমএক্স-১৩ ট্যাংককে তেমন একটা যুদ্ধে জড়িত হতে হয়নি। কোনো ফেরেট ট্যাংক ধ্বংস হয়নি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যে, ভারতের সপ্তম লাইট ক্যাভালরি ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে খোয়া যাওয়া তাদের একটি ট্যাংক পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়। চারদিক থেকে চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৬ ডিসেম্বর ব্রিগেডিয়ার হায়াতের নেতৃত্বে পাকিস্তানের ১০৭তম ব্রিগেডকে যশোর থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ব্রিগেড দৌলতপুর, খুলনা ও মধুমতি নদীর পূর্ব তীরে পুনরায় অবস্থান গ্রহণ করে। খালি পেয়ে ভারতের নবম ডিভিশন ৭ ডিসেম্বর বিকেলে যশোরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। যুদ্ধে প্রথম যশোর মুক্ত হয়।
ডিসেম্বরের শুরুতে মেজর মইনের নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় ইস্ট বেঙল রেজিমেন্ট আখাউড়ায় পাকিস্তানি সৈন্যদের উপর কয়েকটি মারাত্মক আঘাত হানলে ভারতীয় সৈন্যদের ঢাকা অভিমুখে এগিয়ে যাবার পথ প্রশস্ত হয়। মেজর মইন আজমপুর দখল করে আশুগঞ্জ অভিমুখী রাস্তা মুক্ত করলে ভারতীয় বাহিনী এগিয়ে আসার সুযোগ পায় এবং তারা  আশুগঞ্জের কাছে পাকিস্তান সৈন্যদের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। ব্রিগেডিয়ার মিশ্র মেজর মইনকে নরসিংদীতে অবস্থান করার এবং ভারতীয় সৈন্যদের ঢাকা এগিয়ে যাবার সময় তাদের পেছন দিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। মেজর মইন ব্রিগেডিয়ার মিশ্রর নির্দেশ অমান্য করে ঢাকা অভিমুখে অগ্রসর হন।
 মেঘনা নদী অতিক্রমের সাংকেতিক নাম ছিল ‘মেঘনা হেলি ব্রিজ।’ ৯ ডিসেম্বর এ অপারেশন পরিচালনা করা হয়। ভারতের চতুর্থ কোর কমান্ডার লে. জেনারেল সগৎ সিং উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, ভৈরব সেতু অতিক্রম করতে পারলে ঢাকা পর্যন্ত তার সামনে উল্লেখযোগ্য কোনো বাধা থাকবে না। আকাশ থেকে গৃহীত চিত্রে তিনি দেখতে পান, ভৈরব সেতু উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তখন হিসাব করা হয় যে, বিশাল মেঘনা বক্ষে একটি নয়া সেতু নির্মাণে আর্মি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রয়োজন হবে এবং শক্তিপ্রয়োগের চেষ্টা করা হলে বিপুল প্রাণহানি ঘটবে। এ পরিস্থিতিতে জেনারেল সগৎ ও ভারতের ৫৭তম মাউন্টেন ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল বিএফ গঞ্জালভেস হেলিকপ্টার যোগে সৈন্য পারাপারের সিদ্ধান্ত নেন। মেঘনা নদী অতিক্রমের সময় ভারতীয় সৈন্যদের গোলন্দাজ ও সাঁজোয়া বাহিনীর সহায়তা ছিল না। ৯ ডিসেম্বর ভারতীয়রা আশুগঞ্জের দক্ষিণে রায়পুরায় অবতরণ করতে থাকে। রায়পুরায় নিজেদের অবস্থান সংহত হলে ভারতীয় সৈন্যদের নরসিংদীতে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্র“প ক্যাপ্টেন চন্দ্র সিং নদী পারাপারে নেতৃত্ব দেন। তিনি এমআই-৪ হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন। ৯ ডিসেম্বর রাতে ভারতীয় বিমান বাহিনী পুরো ৩১১ ব্রিগেডকে নদীর পশ্চিম পাড়ে বহন করে নিয়ে যায়। পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টায় ১১০ বার কপ্টার উড্ডয়ন করে। একটি এমআই-৪ সাধারণত ১৪ জন করে সৈন্য বহন করতে পারতো। কিন্তু সেদিন সৈন্য বহন করা হয় ২৩ জন করে। একইসময়ে ভারতের ৭৩তম ব্রিগেড নৌকা ও নৌযানে করে মেঘনা নদী পাড়ি দেয়। নরসিংদীতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ভারতীয় সৈন্যরা ১৪ ডিসেম্বর দাউদকান্দি এবং ১৫ ডিসেম্বর বৈদ্যেরবাজার মুক্ত করে। এ পর্যায়ে ভারতীয় সৈন্যদের সামনে ঢাকা অভিমুখী মহাসড়ক উন্মুক্ত হয়ে যায়। হুমকি দেখা দেয়া না সত্ত্বেও ভৈরব সেতু উড়িয়ে দেয়ায় ব্রিগেডিয়ার সাদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি পাকিস্তানি ব্রিগেড আশুগঞ্জে কার্যকরভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মৌলভীবাজারে মোতায়েন পাকিস্তানের ৩১১তম পদাতিক ব্রিগেড ঢাকার প্রতিরক্ষায় এগিয়ে না এসে সিলেটে পিছু হটে। ৩১১তম ব্রিগেড ছিল পাকিস্তানের নবম ডিভিশনের অংশ। এ ডিভিশনের কমান্ডার ছিলেন মেজর জেনারেল কাজী আবদুল মজিদ। তাকে ঢাকায় পিছু হটার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ভারতীয়রা রেলপথ দখল করে নেয়ায় সৈন্য পারাপারে তাকে ৬টি ফেরিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি নির্দেশ অমান্য করেন। ভারতীয় সৈন্যরা মেঘনা নদী অতিক্রম করার সময় তার সৈন্যরা চেয়ে চেয়ে দেখছিল। মেঘনা নদী উন্মুক্ত হয়ে গেলে ঢাকার প্রতি মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। জেনারেল নিয়াজি নবম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল কাজী আবদুল মজিদকে কমান্ড থেকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু ততক্ষণে যা হবার হয়ে যায়। এ ধাক্কা সামলানো সম্ভব হয়নি। যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করায় জেনারেল নিয়াজি অন্য কাউকে মেজর জেনারেল মজিদের স্থলাভিষিক্ত করতে পারেননি। তাই তিনি তার ডিভিশনকে ৩৬ এডহক ডিভিশনের আওতায় ন্যস্ত করেন।
মেঘনা নদী অতিক্রম সম্পন্ন হলে ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে ভারতের ছত্রীসেনা অবতরণ করে। টাঙ্গাইলে ভারতীয় ছত্রীসেনাদের অবতরণের লক্ষ্য ছিল যমুনার পুঙ্গলি সেতু দখল করে উত্তরাঞ্চল থেকে পশ্চাদপসরণকারী ৯৩তম পাকিস্তানি ব্রিগেডের ঢাকার প্রতিরক্ষায় ছুটে আসা রোধ করা। ভারতের সেকেন্ড প্যারাশূট ব্যাটালিয়নকে ঢাকা অভিমুখে মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রির সঙ্গে সংযোগ সাধনের দায়িত্ব দেয়া হয়। ছত্রীসেনা অবতরণে নেতৃত্ব দেন লে. কর্নেল কুলবন্ত সিং। টাঙ্গাইলে ভারতীয় ছত্রীসেনা অবতরণে একাদশ ও ৪৮তম স্কোয়াড্রনের এএন-১২, সি-১১৯, ক্যারিবু ও ডাকোটা বিমান অংশগ্রহণ করে। সর্বমোট এক হাজার সৈন্য বিমান থেকে প্যারাশূটের সাহায্যে অবতরণ করে। সৈন্য অবতরণে ২২ নম্বর স্কোয়াড্রনের ন্যাট ছত্রছায়া প্রদান করে। ভারতের সেকেন্ড প্যারাশূট ব্যাটালিয়নের সঙ্গে একটি আর্টিলারি ব্যাটারি, একটি প্রকৌশল ডিটাচমেন্ট, একটি এডিএস, একটি সার্জিক্যাল টীম এবং ৫০তম স্বতন্ত্র প্যারাশূট ব্রিগেডের অন্যান্য সৈন্য যোগ দেয়। ১১ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারতের ছত্রীসেনারা ভূমিতে প্রথম অবতরণ করে। ভূমিতে অবতরণ করে ছত্রীসেনারা একটি বিরাট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ৩ শো পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় ছত্রী সেনাদের চীনা সৈন্য ভেবে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে বন্দি হয়ে যায়। ৯ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজি সিগনাল নম্বর জি-১২৫৫-তে বিমানে করে অতিরিক্ত সৈন্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের কথাটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় টাঙ্গাইলে মোতায়েন পাকিস্তানি সৈন্যরা এ ভুল করে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ভারতীয় সৈন্যরা ৯৩তম পাকিস্তানি ব্রিগেডের ঢাকা অভিমুখে এগিয়ে আসা রোধ করে। মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রি টাঙ্গাইল সড়কে ধরে এগিয়ে আসে এবং পুঙ্গলি সেতুতে পৌঁছে যায়। পাকিস্তানি সৈন্যরা সেতুটি পুনর্দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। টাঙ্গাইলে ভারতীয় ছত্রীসেনাদের অবতরণ ছিল পাকিস্তানের ৯৩ ব্রিগেডের পশ্চাদপসরণ রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ভারতীয় ছত্রীসেনারা অবতরণ করায় টঙ্গী-ঢাকা ও মানিকগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়ক উন্মুক্ত হয়ে যায়। ঢাকার উপকন্ঠে মিরপুর সড়ক অরক্ষিত হয়ে পড়লে পাকিস্তানি সৈন্যরা দ্রুত পরাজিত হওয়ার পথে ধাবিত হয়। 
জেনারেল নিয়াজির রণকৌশল ছিল ক্রটিপূর্ণ। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য সীমান্তের ৩৯০টি পয়েন্টে শক্তিশালী ঘাঁটিতে সৈন্য ও ভারি সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করে রেখেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সীমান্তে তার মোকাবিলা হবে। এ ধারণা থেকে তিনি দেশের ভেতরে সৈন্য মোতায়েন রেখেছিলেন খুব সামান্য। ভারতীয়রা তার এ ক্রটিপূর্ণ কৌশলের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে পাকিস্তানের শক্তিশালী ঘাঁটিগুলো এড়িয়ে সোজা রাজধানী ঢাকার দিকে ধেয়ে আসে। ভারতীয়দের এ চাল ছিল দাবা খেলায় রাজা খেয়ে ফেলার মতো। স্থল যুদ্ধে পাকিস্তানিরা ৪১ টি ট্যাংক, ৫০টি কামান/ ভারি মর্টার ও ১০৪টি রিকয়েললেস গান হারায়। অন্যদিকে ভারতের ধ্বংস হয় ২৪টি ট্যাংক এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৩টি। 
(লেখাটি ‘২৬৭ দিনের মুক্তিযুদ্ধ’ থেকে নেয়া। বইটি প্রকাশ করেছে আফসার ব্রাদার্স।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ফাইটার জেটের হেলমেট

বর্তমান সময়ে আধুনিক এবং নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার হচ্ছে জেট ফাইটারের ককপিটে বসা এর পাইলটের হেল...